দুর্গাপুজো মিটতেই ফের অ্যাকশন মোডে ইডি। পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে একসঙ্গে ৭ জায়গায় চলে তল্লাশি। ইডির দল হানা দিল রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস-সহ একাধিক ঠিকানায়। এর আগে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার সকাল সকাল কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই ভবনে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দফতর রয়েছে। সেখানে সকাল থেকে তল্লাশি চলে। এ ছাড়া, দমকলমন্ত্রীর একটি রেস্তরাঁতেও পৌঁছে যায় ইডি। গোলাহাটায় তাঁদের একটি ধাবায় চলে তল্লাশি। সবমিলিয়ে শুক্রবার সকালে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস-সহ কলকাতার একাধিক ঠিকানায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। অয়ন শীল-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে রহস্যের শিকড়ের কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ফের পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সল্টলেকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস, নিউ আলিপুরে এক আইনজীবীর বাড়ি, ঠনঠনিয়া, শরৎ বোস রোড ও নিউ আলিপুরেও তল্লাশি চলে। নাগেরবাজারে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দীপক দে এবং কাঁকুড়গাছিতে এক অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের বাড়িতেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতেও ইডি আধিকারিকরা পৌঁছন। দীর্ঘদিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছিল সুজিত বসুর নাম। ২০২৪ সালে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই সময় তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এবার তাঁর অফিস, রেস্তোরাঁয় পৌছে গেলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সল্টলেকের যে আবাসনে সুজিত বসুর অফিস, সেখানকার কেউই জানতেন না ওই অফিসটি কার। শুক্রবার সকালে ইডি অফিসাররা হানা দেওয়ায় হতবাক সকলে। তবে শুধু সল্টলেকের অফিসই নয়, ইডির নজর মন্ত্রীর রেস্তরাঁতে। তবে বিধানসভা নির্বাচন সামনে, তার মধ্যেই সাত সকালে কলকাতার নানা জায়গায় ইডির তল্লাশি। কিন্তু পুজোর পর পরই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল কেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নি বিজেপি।যদিও, রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ভোটের আগে আগেই এরকম অভিযান হয়।
এসবের মাঝেই ইডির জবাব, এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নানা ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। ফলে, সেই সংক্রান্ত কিছু ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন, তাই এই তল্লাশি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি, মন্ত্রী সুজিত বসুর একাধিক বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। এবার ফের ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু।
সুজিত বসুর অফিস-সহ একাধিক ঠিকানায় ইডির হানা


More Stories
সুনীল মুখার্জীর মাস্টারস্ট্রোক : বারাসাত পুরসভায় শপথ নিয়ে চোখের জলে মিশিয়ে দিলেন বাঙালি অস্মিতা আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা
নো এসআইআর নো ভোট – বিজেপির নতুন স্লোগান
খেজুর রসের দিন, মোতালেফদের দিন