Home » ছ্যাঁচরামির রাজনীতি চলছে রাজ্যে,পদ্ম পুরস্কার নিয়ে ফের সোচ্চার দিলীপ 

ছ্যাঁচরামির রাজনীতি চলছে রাজ্যে,পদ্ম পুরস্কার নিয়ে ফের সোচ্চার দিলীপ 

সময় কলকাতা ডেস্কঃ  রাজ্যের সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবিদের একাংশ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন সম্প্রতি। নানান ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসাবে ভারত প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়। ৯০ এর কোঠার এই শিল্পীকে সংস্কৃতির জগতের মানুষ গীতশ্রী বলে ডাকেন।সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মত শিল্পীকে স্বীকৃতি দেওয়ায় এত দেরী হওয়া, তাও আবার পদ্মশ্রী। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।কলকাতা প্রেস ক্লাবে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদী সরকারের গুষ্ঠি উদ্ধারও করেন তাঁরা। আর এতেই চটেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ পুরস্কার না নেওয়ার জন্য শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের উপর মানসিক চাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই কারনে ভেঙ্গে পড়েছেন শিল্পী।অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি।বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবী কিছু কুটিল লোক এই মানসিক চাপটি দিয়েছে শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর আরও অভিযোগ যাঁরা জীবনে নিজেরাই কোনো পুরস্কার পায়নি, তাঁরাই শিল্পীকে পদ্ম পুরস্কার না নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। হতে পারে সেই কারণেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মত দিলীপ ঘোষের।

অন্যান্য দিনের মতই শুক্রবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসেছিলেন তিনি।সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। তাঁর আরো দাবী এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে তৃণমুল বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্য একটা ওছা রাজনীতির উদাহরণ মাত্র।

বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এইদিন তিনি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে কাল আবার বিকাশ ভবন যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।দিলীপ ঘোষের দাবী নন্দীগ্রামে ভোটে আটকাতে পারেনি তৃণমুল কংগ্রেস। আর সেটা করতে না পেরে শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকানো হচ্ছে বলে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ। তাঁর দাবী গায়ের জোরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে কোন অনুষ্ঠান করতে প্রশাসন স্বাভাবিক নিয়মে কোন অনুমতি দেয় না।সেই সব অনুষ্ঠানের পারমিশন নিতে হচ্ছে আদালত থেকে। এটা রাজ্যে গণতন্ত্রের বিপদ বলে উল্লেখ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল কংগ্রেসের শাষনে রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।এখন পুরসভার পেনশন সমস্যা হচ্ছে। আজ পেনসন বন্ধ হয়েছে। আগামী দিনে সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।  দলীয় সাংসদদের নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বৈঠককে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল ঠিক করেছে সংসদের কাজ চলতে দেবে না।তাতে সরকারের কাজ কোনভাবেই আটকাবে না, দাবী দিলীপ ঘোষের । তাঁর মতে এই সিদ্ধান্তের জেরে আসলে বিরোধীরাই সংসদে আলোচনা বা কথা বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। আর এতে আসল ক্ষতি হবে বিরোধীদের। এমনই মত বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির।

About Post Author