Home » রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের স্বামী মহারাজ কেন জেল হেফাজতে?

রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের স্বামী মহারাজ কেন জেল হেফাজতে?

রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের জেল হেফাজত

সময় কলকাতা : আগামী চোদ্দো দিন জেলেই কাটবে রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী হরিমায়া নন্দের।নিউটাউনের রামকৃষ্ণ মিশনের রাঁধুনিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ মহারাজ হরিমায়া নন্দের বিরুদ্ধে।শনিবার তাঁকে বারাসাতের সিজিএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে চোদ্দোদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। টেকনোসিটি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হওয়া ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬ নম্বর ধারা ( আত্মহত্যার প্ররোচনা ) এবং ৩৪ নম্বর ধারা ( সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের অভিপ্রায় )-অনুযায়ী বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক জানান, রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজকে আবার ১১ ফেব্রুয়ারী আদালতে হাজির হতে হবে। ততদিন জেল হেফাজত ধার্য হয়েছে মহারাজের।

 

উল্লেখ্য,শুক্রবার নিউটাউনের নতুনপুকুর এলাকা থেকে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি বন্ধ ঘর থেকে রাঁধুনি রোহিত হালদারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় সুইসাইড নোটও।

জানা গেছে কিছুদিন আগেই নিউটাউনের রামকৃষ্ণ মিশন থেকে খোয়া যায় কয়েক হাজার টাকা। অতঃপর সোনারপুরের বাসিন্দা রোহিত হালদার সহ দুজন রাঁধুনিকে প্রমাণবিহীন ভাবে সন্দেহ করতে থাকেন হরিমায়া নন্দ। এরপরে খবর দেওয়া হয় রাঁধুনি সরবরাহকারী সংস্থায়। প্রমাণ হয় নি রোহিত হালদারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ।পাল্টা অভিযোগ, তবুও রোহিত হালদারের ওপরে চলতে থাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বা শুক্রবার ভোরে আত্মহত্যা করেন তিনি।”অহেতুক চুরির দায় ” বয়ে চলা রোহিত হালদার হতাশায় ভেঙে পড়ে চরম পথ বেছে নেন। তাঁর দেহ ও সুইসাইড নোট পাওয়া যেতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষও। পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয় পরিস্থিতি সামলাতে।অন্যদিকে, টেকনোসিটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে স্বামী হরিমায়া নন্দকে। আপাতত স্বামীজি মহারাজকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে।।

About Post Author