সময় কলকাতা ডেস্ক: নেতাজী জয়ন্তীর পর প্রয়াণদিবসেও রাজনৈতিক কাদাছোঁড়াছুঁড়ি অর্জুনগড়ে।রবিবার ব্যারাকপুরে গান্ধী ঘাটে গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । গান্ধী স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের আগে রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে দেশাত্মবোধক গান এবং সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় সস্ত্রীক রাজ্যপালের সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ অন্যান্যরা । অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে অর্জুন সিং থাকায় বনমন্ত্রী মঞ্চ বয়কট করেন। পরে অবশ্য পর্যায়ক্রমে সবাই গান্ধীস্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গান্ধী ঘাট থেকেই সাংসদ অর্জুন সিংকে প্রফেশনাল খুনি বলে কটাক্ষ করেন বনমন্ত্রী।
জ্যোতিপ্রিয় বাবু বলেন, ‘ইছাপুরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিং মূল অভিযুক্ত । অথচ একজন খুনিকে ডেকে নিয়ে এসে পাশে বসিয়েছে রাজ্যপাল । তাই একজন খুনির সঙ্গে একমঞ্চ থেকে গান্ধী স্মরণ না করে মঞ্চের নীচে থেকে রাজ্যপালের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যপক গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গ গনতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিনত হচ্ছে। গণতন্ত্রভাঙার গবেষণাগারে পরিনত হচ্ছে। বরদাস্ত করা যাবে না।পাশাপাশি এই অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, নেতজী জয়ন্তী পালনকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির সাক্ষী হয়েছিল ভাটপাড়া। একই ঘটনা এড়ানো গেল না গান্ধী জয়ন্তীতেও। মনিষীদের শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে বারবার কেন রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি প্রশ্ন তুলছে আমজনতা।
More Stories
Kunal Ghosh: একদা মাদক কাণ্ডে ধৃত পামেলাকে অবস্থানরত চিকিৎসকদের মঞ্চে দেখে কটাক্ষ কুণালের, পাল্টা দিলেন বিজেপি নেত্রীও
US Presidential Election: একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ, ট্রাম্প-কমলা বিতর্কসভায় উঠে এল কী কী বিষয়?
Sukanya Mondal: ১৫ মাস পর তিহাড় জেল থেকে মুক্তি কেষ্ট কন্যার, জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট