সময় কলকাতা ডেস্কঃ দেশের অতন্দ্র প্রহরী দাঁড়িয়ে আছে সীমান্তে। কাঁটাতার কিংবা বাংলার ধূ-ধূ প্রান্তরে নজর বরাবরই সীমান্তের শেষ বিন্দুতে। চোরাচালান, সীমান্ত অপরাধ কিংবা বৈদেশিক শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এটাই সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর প্রাথমিক কাজ। দেশের অন্যতম জঙ্গী উপদ্রুত রাজ্য কাশ্মীরে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর জওয়ানদের ক্রুদ্ধ রুপের সঙ্গে মানবিক মুখের কথা প্রায়শই শোনা যায়। কখনও তীব্র শীতে দু-ফুট বরফ ঠেঙ্গিয়ে আসন্ন প্রসবা বা অসুস্থকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছে দেওয়ার নজির রয়েছে বহু। আপাতত শান্ত ও ব্যবস্থিত রাজ্য পশ্চিম বাংলার সীমান্ত সেই অর্থে কাশ্মীরের মত দূর্গম নয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারী নদীয়া জেলার শিকারপুর বি এস এফ ক্যাম্পে এসে হাজির হন কয়েকজন গ্রামবাসী। গ্রামের এক বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ। কিন্তুু সীমান্তের এই গ্রামে অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মত কোন যানবাহন এই মূহুর্তে নেই। তাই বিএসএফ এর ৮৬ নং ব্যাটেলিয়নের এ্যাম্বুলেন্সটা পেলে সহজেই বৃদ্ধাকে দূরের করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। এই আর্জি জানিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধার আত্মীয়রা এই আবেদন নিয়ে দেখা করেন বিএসএফ এর ৮৬ নং ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি কমান্ডেন্টের সঙ্গে।
বিএসএফ আধিকারিকরা জানান, শুধু একটি এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দায় সারেন নি ওই কোম্পানি কমান্ডেন্ট। এ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে তাঁদের ক্যাম্পে থাকা এক সহকারী নার্সকে পাঠান গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধার বাড়িতে।এরপর বিএসএফের এ্যাম্বুলেন্সে রেনুকা মন্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর হাসপাতালে। সেখানেই তার বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ রেনুকা মন্ডলের ছেলে গিরেন মন্ডল বলেন, ‘সময় মত বিএসএফ এর সাহায্য পাওয়ায় এ যাত্রায় মাকে আবার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
বিএসএফ- এর জনসংযোগ আধিকারিক, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার বলেন, ‘আমাদের জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তার পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখে।’
More Stories
ডিগ্রি নেই, অথচ চিকিৎসা করছেন! আর জি কর আন্দোলনের মুখ আসফাকুল্লাকে নোটিস কাউন্সিলের
এবার স্বাস্থ্যদপ্তর ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিল
গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ! ২ দুষ্কৃতীর খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা