Home » চার পুরসভার শান্তিপূর্ন ভোট করাই চ্যলেঞ্জ কমিশনের

চার পুরসভার শান্তিপূর্ন ভোট করাই চ্যলেঞ্জ কমিশনের

সময় কলকাতা ডেস্কঃ রাত পোহালেই ৪ জেলায় পুরসভা নির্বাচন।আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর এই ৪ পুরসভা ভোট। তাই পুরভোটের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ভোটের সামগ্রী নিয়ে ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে শুরু করেছেন ভোট কর্মীরা।আসানসোল ধাদকা পলিটেকনিক কলেজে করা হয়েছে ডিসিআরসি সেন্টার। সেখান থেকে আসানসোল পুরসভার ১০৬ টি ওয়ার্ডের ভোট সামগ্রী বিতরনের কাজ চলছে।মোট ৫৩ টি কাউন্টার থেকে ভোটের জন্য ব্যবহৃত ইভিএম, হাতে লাগানোর কালি, স্যানিটাইজার ইত্যাদি সামগ্রী নিয়ে চলছে প্রস্তুতি।পাশাপাশি রয়েছে পুলিশি ব্যবস্থা ও মেডিকেল টিম।

আগামীকাল চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে। ১টি ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। মোট ভোটগ্রহণকেন্দ্র ১৭৩টি।  নিরাপত্তার চাদরে মুরে ফেলা হয়েছে ভোট গ্রহন কেন্দ্র গুলি। চলছে পুলিশের নাকা তল্লাশি।

আগামীকাল পুর ভোট শিলিগুড়িতেও। ৪৭ টি ওয়ার্ডে মোট ৫০২ টি বুথে ভোট ভোটগ্রহন ।শিলিগুড়িতে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৮৯।নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরোদমে  চলছে বিধাননগর পুরসভার ভোটের প্রস্তুতি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে চলছে পুলিশের নাকা চেকিং।বিধাননগর পুরসভা ভোটে  ২ হাজার ৩০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দায়িত্বে ৩২ জন ইন্সপেক্টর, ৪০০ জন এসআই, এএসআই, ১৯০০ কনস্টেবল। এছাড়াও থাকছেন ৪৮ জন সেক্টর অফিসার। ৩০টি আরটি মোবাইল ভ্যান, ১১টি এইচআরএফএস। ১৮টি কিউআরটি, ২২ জায়গায় নাকা পয়েন্ট করে নজরদারি।

উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনের, জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, “মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি এবং আই জির সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বাহিনীর প্রয়োজন হলে অবিলম্বে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে সেই জায়গায় গন্ডগোল হলে দায় কমিশনারের।”

About Post Author