Home » পিকে ব্যানার্জীর পরে রাইট উইং-এ আর তেমন কোনো খেলোয়াড় হয় নিঃ স্মৃতি রোমন্থনে প্রসূন

পিকে ব্যানার্জীর পরে রাইট উইং-এ আর তেমন কোনো খেলোয়াড় হয় নিঃ স্মৃতি রোমন্থনে প্রসূন

সময় কলকাতা ডেস্কঃ  রাইট উইংয়ে  পিকের পরে আর কেউ আসেনি ময়দানে। ও আমার শুধু বন্ধু ছিল না আমার ভাই ছিল। সুরজিৎ প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণে আর এক বিখ্যাত খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।   বৃহস্পতিবার  প্রখ্যাত ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের অকাল প্রয়াণ হয়।  তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে ক্রীড়া মহল। সুরজিৎ সেনগুপ্তের সঙ্গে একসঙ্গে ময়দানে ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করলেন হাওড়ার সাংসদ ও প্রাক্তন বিখ্যাত খেলোয়াড়  প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন সুরজিতের আচমকা মৃত্যু, চরম দুঃখের। তিনি আরো বলেন, সুরজিতের সঙ্গে একসঙ্গে প্রসূনের নাম উচ্চারণ হতো। ও আমার শুধু বন্ধু নয় আমার ভাইও ছিল। আমি ভীষণ মর্মাহত ওর চলে যাওয়াতে। সম্প্রতি গোয়াতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে সুরজিতের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন প্রসূনবাবু । সুরজিতকে আশ্বস্ত করে অরূপ বলেন সরকার ওঁর পাশে আপ্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করে বলেন ও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্য হাসপাতালে দেখা করতেও যেতে পারেন নি। তিনি স্মৃতিচারণায় আরও বলেন সুরজিৎ ভীষণ উচ্চ মানের খেলোয়াড় ছিলেন। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে রাইট উইং এ  খেলার মতো উচ্চ মানের আর কোনো খেলোয়াড় হয় নি।

তিনি অতীতের স্মৃতি মন্থন করে বলেন ভারতের হয়ে একসাথে খেলেছেন, সংবাদ পত্রেও খেলা নিয়ে নিয়মিত লিখেছেন।  ১৯৭৮ সালে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে দুদলই ঠিক করেছিল বিকেল ৪ টের আগে তারা মাঠে নামবেন না। অথচ গ্যালারিতে অপেক্ষমান দর্শক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ তিনি সুরজিতের কাছে গিয়ে বলেন বন্ধু চলো মাঠে নামি। যদিও সেই ম্যাচে সুরজিতের দল হেরে যায়। খেলা শেষে দুই অধিনায়কের হ্যান্ডশেক করার দৃশ্য দেখে ইস্টবেঙ্গলের দর্শকেরা সুরজিৎ ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সেই সময় প্রসূন নিজে কাগজে লিখতে বসেছিলেন। তিনি বলেন সুরজিৎ তাকে গোপাল বলে ডাকতেন। তিনি হাওড়াতে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সুরজিৎই তাকে ফোন করে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। আমি ওর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর খুব মন খারাপ হয়ে গেল। আজকে নিজের মেয়ের জন্মদিনে এরকম হৃদয়বিদারক সংবাদ পেয়ে সত্যি তিনি মর্মাহত। তিনি আক্ষেপ করে বলেন কোভিড আমাদের বড় ক্ষতি করে গেল।প্রথমে লতাজি, তারপরে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীও চলে গেলেন। সন্ধ্যাকে নিয়ে তার আক্ষেপ বাঙালি বলে তাকে ভারতরত্ন দেওয়া হলো না। এরপরে বাপিও চলে যাওয়ার আক্ষেপ করেন তিনি। আর আজকে সুরজিতের চলে যাওয়াটা মর্মান্তিক।

About Post Author