Home » শুভেন্দুর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন কুণালের

শুভেন্দুর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন কুণালের

সময় কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনৈতিক বেজন্মা বলা মানহানির মামলায় কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন কুণাল ঘোষ৷ মঙ্গলবার কাঁথি আদালতের দ্বিতীয় জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। সেই জন্য কাঁথি আদালতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ ছিল এদিন কাঁথি আদালত। এই মামলায় কুণাল ঘোষের আইনজীবি তাঁর জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। এদিন, সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

আদালত থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা থেকে আমি শুভেন্দুকে রাজনৈতিক আক্রমণ করেছিলাম। ওই ঘটনায় এদিন বিচারক আমার জামিন মঞ্জুর করেছেন।’’ একই সঙ্গে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গের সুরে কুণাল বলেন, ‘‘এদের মামলা করার শখ আছে, কিন্তু নোটিস দিতে জানে না। এরা দিল্লির একটি গেস্ট হাউসে নোটিস পাঠিয়েছে। তবু আমি চাই, এই মামলায় লড়তে৷ তাই এসেছি৷’’

২০২১ সালের ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম বাঁচাও ! গাদ্দার হটাও ! মিরজাফর হটাও ! বিভীষণ হটাও।” এই আক্রমণের মাঝেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কুণালের সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পরের দিনই শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী আদালতে মামলা করেন। মানহানির সেই মামলায় মঙ্গলবার কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কুণাল ঘোষ। আদালতে আত্মসমর্পনের আগের দিন সোমবার রাতে কাঁথিতে নির্বাচনী প্রচারে এসে কুণাল ঘোষ আবারও বলেছিলেন ‘‘শুভেন্দু রাজনৈতিক বেজন্মা, প্রয়োজন হলে ১০০বার আমি সেটাই বলব৷ কারণ, যা বলেছি, সত্য বলেছি৷’’ তারপর দিনই কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন তিনি।

About Post Author