স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ৬ জুলাইঃ ফুটবল মাঠে গুরু-শিষ্যের লড়াই। শেষ হাসি কে হাসবে, দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল অনুরাগীরা। কিন্তু শেষে এরকম দৃশ্যের অবতারণা হবে কেউ তার জন্য প্রস্তুত ছিল না। সম্ভবত এবারেই শেষবারের জন্য ইউরোর মঞ্চে দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দেশ মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্সের। যেই দলে রয়েছেন রোনাল্ডোর শিষ্য বলে পরিচিত বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২০১৬ সালে এই ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য ইউরোপ সেরার খেতাব পেয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু শুক্রবারের ম্যাচে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল না। পেনাল্টি শুটআউটে পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ফ্রান্স । হতাশা নিয়ে একদিকে যখন নিজের ইউরো সফরে ইতি টানলেন ৩৯ বছরের রোনাল্ডো, তখন আনন্দে মাতলেন এমবাপ্পেরা।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলার ফলাফল ছিল গোলশূন্য। দুই দল গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি। তবে বল দখলের লড়াইয়ে গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের কড়া টেক্কা দেন রবার্তো মার্টিনেজের ছেলেরা। প্রথম দিকে যদিও চাপ ছিল ফ্রান্সের। গ্রিজম্যান, এমবাপ্পেরা দুটি প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠছিলেন। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে বেশি বলই পেলেন না তাঁরা। ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে পর্তুগাল। বাঁ দিক থেকে ক্রমাগত আক্রমণে উঠছিলেন রাফায়েল লিয়াও। কিন্তু অতিরিক্ত বল ধরে রাখার খেসারত দিতে হল তাঁর দলকে। সামনে স্বমহিমায় দেখা গেল না রোনাল্ডোকেও। বলের কাছে ঠিক সময়ে পৌঁছতেই পারছিলেন না তিনি। ফলে গোলের খাতাও খুলতে পারেনি পর্তুগাল। গুরুর মত এই ম্যাচে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি শিষ্য এমবাপ্পেকেও। দ্বিতীয়ার্ধে ফের মুখে চোট পান তিনি। সুরক্ষায় ব্যবহার করা তাঁর মাস্কটি খুলে যায়। যদিও তারপরেও তিনি মাঠে ছিলেন। ৫৯ মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রুনো। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। ভিটিনহার একটি শট রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষক। কোলো মুয়ানীর শট রুবেন ডিয়াজের পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফয়সলা না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আরও পড়ুনঃ UEFA Euro Cup 2024 : স্পেনের ‘স্কুল দলের’ কাছে চূর্ণ জার্মান দম্ভ
সেখানেও দুই দল আক্রমণ করছিল। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি। আহত এমবাপ্পেকে তুলে বার্কোলাকে নামিয়েও গোলের খাতা খুলতে পারেনি ফ্রান্স । অতিরিক্ত সময়েও স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। গত ম্যাচে পরপর তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন গোলরক্ষক দিয়োগো কোস্তা। এদিন তিনি একটিও শট বাঁচাতে পারলেন না। অন্যদিকে তৃতীয় শট বাইরে মারেন জোয়াও ফেলিক্স। ফলে ৫-৩ গোলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ফ্রান্স। হেরে শেষ ইউরো প্রতিযোগিতা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় রোনাল্ডোকে।
More Stories
হায়দরাবাদের পাঁচ তারা হোটেলে আগুন! ওই হোটেলেই রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টিম
সাফল্য পাবেন অধিনায়ক ধোনি? চেন্নাই-কলকাতা ম্যাচ বাজিমাত করবেন কে?
ফের দিবালোকে প্রকাশ্যে বালি চুরির ঘটনা মালদায়