Home » ‘আরজিকর হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার’, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য CBI-র

‘আরজিকর হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার’, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য CBI-র

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৫ সেপ্টেম্বরঃ আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। তারই মধ্যে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে ইডি-সিবিআই। উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আরজিকরের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা ঘুরপথে চলে যাচ্ছিল সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের পকেটে। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবার আলিপুর আদালতে দাবি করল সিবিআই। রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে, হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা দিয়ে মেটানো হত সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের বিল। সরকারি দফতরের স্ক্রুটিনি অগ্রাহ্য করেই এই কারবার চলত। এর আগে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপের বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগে টালা থানায় দারস্থ হন আরও একজন। জানা গিয়েছে, সেসময় টালা থানা ক্লিনচিট দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে।

আরও পড়ুন  প্যারালিম্পিকে সোনা জয় ধরমবীরের, রুপো পেলেন প্রণব, ভারতের ঝুলিতে মোট পদক ২৪

প্রসঙ্গত, আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরই হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই আরজিকরে দুর্নীতির তদন্তে এফআইআর করে সিবিআই। জোরকদমে শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। সেই সূত্রেই আদালতের নির্দেশে এর আগে গত রবিবার সকাল থেকে শহরজুড়ে অভিযানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবন ও কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই ফুড স্টল, কাফে, ক্যান্টিন, সুলভ কমপ্লেক্স তৈরির জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। তিনজন বিশেষ ব্যবসায়ীই এই প্রত্যেকটি ‘বেআইনি’ টেন্ডার পান। তাঁদের একেকজনকে কয়েক কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়। ফিনান্স ও অ্যাকাউন্ট অফিসারদের কিছু না জানিয়েই এই বরাতগুলি দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কাজ করানো হয় পূর্ত দফতরকে না জানিয়েই।

ডাক্তারি শিক্ষার তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগও উঠেছে।অভিযোগ, পুরসভার বদলে হাসপাতালের কর্তারা পার্কিং থেকে টাকা আদায় করে তা সরিয়ে দেন। চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাহিদামতো রদবদলেরও অভিযোগ উঠেছে। বিক্রেতাদের কাছ থেকেও কুড়ি শতাংশ টাকা তোলা হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। করোনার সময়ে কোভিডের জন্য আসা রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে আরামদায়ক চেয়ার, সোফা, ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ ও আরও অনেক কিছু কেনা হয়। সরকারি টাকায় কেনা বহু জিনিসও এমন নার্সিংহোমে যেত, যার আসল মালিক স্বাস্থ্যকর্তা। এমনকী, ভেন্ডারদের সাহায্যে এক স্বাস্থ্যকর্তার বাগানবাড়ি সাজানো হত ও তা না করলে তাঁরা হুমকির মুখে পড়তেন এমনও অভিযোগ উঠে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, একদিন অন্তর হাসপাতালের ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে কয়েকশো বর্জ্য বের হতো। তাতেও নাকি দুর্নীতি করতেন সন্দীপ। একটা ব়্যাকেট বানিয়ে ফেলেছিলেন, তাতে যুক্ত ছিলেন দু’জন বাংলাদেশিও। এসব দুর্নীতির নথিই দ্রুত সংগ্রহ করতে চাইছে ইডি এবং সিবিআই। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তারও পর্দাফাঁস করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

#RGkarHospital   

#RGkarPrincipalSandeepGhosh    

#RGKARDoctorDeath    

#Latestbengalinews 

#CBI 

#RG KarHospitalAcademicFund

About Post Author