সময় কলকাতা ডেস্কঃ সদ্যই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ময়নাগুড়ি। সেই আতঙ্কের রেশ এখনও কাটে নি। তাঁর মধ্যেই অন্য এক আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। গুজব রটেছে, ময়নাগুড়ির দোমহানী দক্ষিণ মওয়ামারী গ্রামে রেল দুর্ঘটনার পর নাকি সেখানে অশরীরী আত্মারা তান্ডব করে বেড়াচ্ছে। এখনো বাকি রেলের বিভিন্ন কামরা থেকে ভেসে আসছে চিৎকারের আওয়াজ। আর এই খবরের সত্যতা যাচাই করতে গভীর রাতে ঘটনাস্থলে আসেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী। কিন্তু কোথায় ভূত? কোথায় চিৎকার? কোন কিছুই কিন্তু এদিন রাতে শোনা যায় নি। তাহলে কি এটা গ্রামবাসীদের নিছক একটা মনের ভুল। এটা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই নিয়ে তারা এখনো আতঙ্কে রয়েছেন। কি হয়েছিল সেদিন রাত্রে বা কেন তাদের মনে এখনও ভয়? গ্রামবাসীরা জানান, রেল দুর্ঘটনার পর রাতে নিহতদের আত্মার রেলের কামরায় চিৎকার করছে। রাত হলেই নাকি সে চিৎকার শোনা যায়। বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ আসে রেলের কামরা থেকে। ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বলেন, ‘ভূত বলে কিছুই নেই নিছক মানুষের একটি মনের ভুল।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের কর্মীদের দাবি, এখানে কিছু রয়েছে।
যুক্তিতর্ক অনেক থাকতে পারে তবে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের মতে ভূত বলে কিছু নেই। কেন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে এই বিষয়ে বিডিও শুভ্র নন্দী জানান, ‘চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তারা আতঙ্কিত। সে কারণেই তাদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।’ যদিও এ ব্যাপারে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ঝুলন সান্যাল বলেন, ‘এই ধরনের ভুতের কোন অস্তিত্ব নেই এখানে। এটা গ্রামবাসীদের ভ্রান্ত ধারণা।’
অন্যদিকে, বিজ্ঞান মঞ্চ সমস্ত কথা অস্বীকার করেছে। বিজ্ঞান মঞ্চের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘ভূত বলে কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এটা নিছকই গ্রামবাসীদের ভ্রান্ত ধারণা । যদিও এতবড় একটা ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায় সেই আতঙ্ক তাদের মনে ভয় সৃষ্টি করেছে। আর তা থেকেই এমন ভ্রান্ত ধারনা হয়েছে।’
More Stories
ত্রিকোণ প্রেম নয়, পুলিশকে সাহায্য করাই কি কাল হয়েছিল হজরতের?
ভোটাভুটি আটকানো গেল না, জেলা সম্পাদকই হারলেন জেলা কমিটির ভোটাভুটিতে
দমদমে দুঃসাহসিক ডাকাতি, নগদ, সোনাদানা সহ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার সামগ্রী লুট