সময় কলকাতা ডেস্কঃ প্রায় দু বছর পার করে রাজ্যে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা অতিমারির জের কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষাঙ্গন। রাজ্যে বিদ্যালয় গুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতিই জানান দিচ্ছে অতিমারির মধ্যেও ছন্দে ফিরছে জীবন। দীর্ঘ সময় অনলাইনে পড়াশোনা করা পড়ুয়ারা দৈহিক ভাবে বড় হয়ে গেছে।এবার আর স্কুলের পুরানো ইউনিফর্ম গায়ে আঁটছে না। দরকার নতুন ইউনিফর্মের। রাজ্যে সরকারি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম দেয় রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগী হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।সাধারণত বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম সরকার দিলেও সেগুলি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের স্বনির্ভর সংস্থা গুলিকে।দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬৪ টি মহিলা পরিচালিত সমবায়,সংঘ ও স্বনির্ভর সংস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয় গুলিও খুলে গিয়েছে এই জেলায়। পড়ুয়ারাও এই দুই বছরে উঁচু ক্লাসে উঠে গিয়েছে।তাদের নতুন ইউনিফর্ম দরকার। কিন্তুু স্বনির্ভর সংস্থা গুলি থেকে সেই পোশাক যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য সক্রিয় হয়েছেন খোদ দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা শাসক আয়েশা রানি। সংঘ, সমবায় মহিলা স্বনির্ভর সংস্থা গুলি কতটা তৈরি তা জানতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু ছায়া সভাগৃহে বৈঠক করা হয়। সেখানে উপস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক আয়েশা রানি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছে সরকারের পোষাকের চাহিদা ও সময় মত সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। আর বলেন দ্রুত জেলার বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম তৈরি করে পাঠাতে হবে। এর অন্যথা কোন ভাবেই মানবেন না তারা।পুরানো ইউনিফর্মে পড়ে পড়ুয়ারা বিদ্যলয়ে আসছে।
ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবেই জেলা শাসক আয়েশা রানি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অল্প সময়ে জেলার বিপুল পড়ুয়াদের পোশাক তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। জেলা শাসক জানান করোনা অতিমারিতে বেরোজগার হওয়া পরিবারের সদস্যগণ এই বরাত পেয়ে নতুন করে উপার্জন বাড়াবার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের পোষাকের সমস্যাও মিটবে।
More Stories
ফেসবুক থেকে ছাঁটাই হবে কয়েক হাজার কর্মী
পড়াশুনা নিয়ে বাড়ির লোকের বকুনি, আত্মঘাতী বর্ধমানের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
এবার আবাসের টাকায় কাটমানির অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা