জয়ন্ত দাস, বীরভূম : বিশ্বভারতী আন্দোলনের পরবর্তী পর্যায়ে আদালতের রায় পাওয়ার পরে ছাত্র ও আধিকারিকদের মধ্যে আইনি বিষয়ের প্রয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ ও চাপানউতোর। প্রসঙ্গত ছাত্রাবাস খোলা সহ কয়েক দফা দাবী গত তিন দিন ধরে আন্দোলনে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। টিএমসিপি ও এস এফ আই একযোগে আন্দোলন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন পরিস্থিতিতে সুস্থ পঠন পাঠনের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের দাবী অফলাইন পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা শুনছেন না বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা গেট টপকে ভেতরে ঢোকেন নিরাপত্তারক্ষীদের বাধাদানের পরে। রেজিস্ট্রার এদিন হইচইয়ের পরে হামাগুড়ি দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ডামাডোল চলতে থাকে। ছাত্র ছাত্রীদের কর্মসচিবের পায়ে হাত দিতে দেখা গেলেও তাকে গুরুত্ব দেন নি কর্মসচিব ও আধিকারিকরা ।পড়ুয়াদের দাবী, তাঁরা কারও পথ অবরুদ্ধ করেন নি। আদালত আন্দোলনের বিষয়ে কোনও আপত্তি তোলে নি।
উল্লেখ্য,বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্তা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার নির্দেশ , আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। বিচারপতি মান্থার আরও নির্দেশ ,
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। বিচারপতির নির্দেশ,পড়ুয়াদের যা দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের নির্দেশনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা শান্তির বারিবর্ষণ করতে পারে এখন এটাই দেখার।।।
More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট