Home » মঞ্চে সাজানো প্রতীকী লাশ বঞ্ছিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের, চাকরি না পেলে এই চিত্র বাস্তবায়িত করার হুমকি

মঞ্চে সাজানো প্রতীকী লাশ বঞ্ছিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের, চাকরি না পেলে এই চিত্র বাস্তবায়িত করার হুমকি

সময় কলকাতা ডেস্কঃ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্বেও চাকরি না পেয়ে ধর্নায় শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। সোমবার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাদের এই ধর্না আন্দোলন ১০৫ তম দিনে পড়ল ।নিয়োগ পদ্ধতিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রায় দীর্ঘ তিনবছর ধরে প্রতিবাদ করেছেন এই বঞ্চিতরা। এদিন ধর্নায় নিজেদের কথা সকলের কাছে পৌঁছনোর জন্য অভিনব উদ্যোগ নিলেন তারা। এদিন ধর্না মঞ্চে দেখা গেল সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি প্রতীকী লাশ। তারা জানান, তারা তাদের ন্যায্য চাকরি তারা না পেলে হয়ত এই প্রতীকী চিত্র বাস্তবায়িত হবে।রাস্তায় পড়ে থাকবে যোগ্য হয়েও চাকরি না পাওয়া বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীর  লাশ।

ধর্নাকারীরা জানান, তারা ২০১৬ সালে প্রকাশিত হওয়া মেধা তালিকাভুক্ত। তাদের অভিযোগ, তারা পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেলেও তারা এখনো নিয়োগপত্র পাননি।তাই এর বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভে নেমেছেন তারা। তাদের অভিযোগ মেধাতালিকায় সামনের দিকে তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও তারা চাকরির নিয়োগপত্র পাননি।অপরদিকে, তালিকার নীচের দিকে থাকা, এমনকি ফেল করা প্রার্থীদেরও নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ধর্নায় বসা বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ জানিয়েছেন “ আমারা ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে আমাদের দাবি নিয়ে ২৯ দিন ব্যাপী অনশন করেছিলাম।সেখানে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে অনশনরত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মেধাতালিকায় নাম থাকলে কোন চাকরির প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হবে না।প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করা হবে। মেধাতালিকায় নাম আছে অথচ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
তারা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে এসেও সেই আশ্বাস এখনো কার্যকর হ্য়নি। সময় বয়ে গেলেও তারা হাতে পাননি নিয়োগপত্র।তাই তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করেন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে।

ধর্না মঞ্চ থেকে একজন জানান, “ রাজ্যের জনদরদী নেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সমস্যার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পাবেন।“

About Post Author